বাগেরহাটের ফকিরহাটে শীত আর ঘনকুয়াশার প্রভাব পড়েছে পান চাষে। কুয়াশায় পানপাতায় পচন ধরেছে। হলুদ বর্ণ হয়ে ঝরে পড়ছে পান। তীব্র শীতের কারণে এরইমধ্যে পান বরজে বিভিন্ন রোগ দেখা দিয়েছে।
এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে হাজারো পান চাষি।
ফকিরহাটের পানের সুনাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ফকিরহাটের মাটিকে বলা হয়ে থাকে পান চাষের জন্য খাঁটি। পান চাষ লাভজন হওয়ায় এলাকার মানুষ পান চাষের আয়তন বাড়িয়ে চলেছে। কিন্তু সেই পান চাষিরা বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। পৌষ আর মাঘের এই তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশা পান বরজকে ক্ষতির মুখে ফেলেছে। বরাজে লতার সাথে পানপাতা হলুদ বর্ণ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। মাটিতে ঝরে পড়ছে পানপাতা। বরজের উপরে ঘনো ছাউনি আর চার পাশে পলিথিন দিয়ে ঘিরে রেখেও পানপাতা রক্ষা করতে পারছে না চাষিরা। পানপাতা হলুদ বর্ণ হয়ে ঝরে পড়ার কারণে চাষিরা পানের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।
পান বরজ ক্ষতির মুখে পড়ায় চাষীরা হতাশায় ভুগছে। উপজেলার বাহিরদিয়া, মানসা, নলধা, হোচলা, পিলজংগ ও লকপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের পান বরজে ঘুরে ক্ষতির একই চিত্র দেখা গেছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে ক্ষতির মুখে পড়ছে পান চাষিরা। আর পান চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারি প্রণোদনার দাবি জানিয়েছে। কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ফকিরহাট উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। তিনশ’র বেশি চাষি পান চাষের সাথে যুক্ত।
পান চাষিরা জানান, সারা বছর জুড়ে বরাজে লতায় পান পাতা ধরতে থাকে। অধিক লাভের আশায় শীতের দুই মাস আগে থেকে বরজ থেকে তারা পান তোলেনা। কিন্তু এবছর শীত আর কুয়াশার কারণে বরাজে পানপাতা নষ্ট হচ্ছে। লাভ তো দুরের কথা খরজের টাকা উঠবে না।
পান ব্যবসায়ীরা জানান, পানের পাতা হলুদ হয়ে যাওয়ার কারণে পাইকাররা পান ক্রয় করতে চায়না। একারণে বাধ্য হয়ে চাষীরা কম দামে পান বিক্রি করছে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাছরুল মিল্লাত জানান, তীব্র শীত আর ঘনকুয়াশার কারণে পান বরজে রোগবালাই দেখা দিয়েছে। ছত্রাক নাশক ওষুধ ব্যবহারের জন্য পান চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।